গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা :
১. সরল বাক্য
২. জটিল বাক্য
৩. যৌগিক বাক্য
১. সরল বাক্য : যে বাক্যে একটি কর্তা বা উদ্দেশ্য ও একটিই সমাপিকা ক্রিয়া বা বিধেয় থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন :
খোকন বই পড়ছে।
আমি বহু কষ্টে সাঁতার শিখেছি।
জগতে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
২. জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি স্বাধীন বাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বা মিশ্র বাক্য বলে। যেমন :
যিনি পরের উপকার করেন, তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে।
কোথাও পথ না পেয়ে তোমার কাছে এসেছি।
তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করে আছি।
৩. যৌগিক বাক্য : দুই বা তার অধিক সরল বা জটিল বাক্য মিলিত হয়ে যদি একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করে, তবে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন :
ছেলেটি গরিব কিন্তু মেধাবী।
দুঃখ এবং বিপদ এক সাথে আসে।
এতক্ষণ অপেক্ষা করলাম কিন্তু গাড়ি পেলাম না।
জটিল ও যৌগিক বাক্য একাধিক বাক্যাংশ বা বাক্য দিয়ে গঠিত।
জটিল বাক্যের অন্তর্গত বাক্যাংশগুলো পরস্পর সাপেক্ষ, একটি অপরটির ওপর নির্ভরশীল।
যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত বাক্যগুলো প্রায় স্বতন্ত্র। ও, এবং, আর, অথচ, কিংবা, বরং ইত্যাদি অব্যয়যোগে যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত খণ্ডবাক্যগুলো যুক্ত হয় । যেমন :
জটিল যদিও লোকটি ধনী, তবুও সে কৃপণ।
যৌগিক : লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ।
জটিল : যদিও তাঁর টাকা আছে, তবু তিনি দান করেন না।
যৌগিক : তাঁর টাকা আছে কিন্তু তিনি দান করেন না।
জটিল : যখন বিপদ আসে, তখন দুঃখও আসে।
যৌগিক : বিপদ এবং দুঃখ একই সাথে আসে।
আরও দেখুন...